ডায়াপার র্যাশ নিয়ে চিন্তিত? এই সহজ পরামর্শ গুলো অনুসরণ করে আপনার শিশুর ত্বক সুস্থ এবং র্যাশ মুক্ত রাখুন।
ডায়াপার র্যাশ প্রতিরোধে করণীয় :
একজন অভিভাবকের জন্য তার শিশুকে অস্বস্তিতে থাকতে দেখা খুবই কষ্টদায়ক। শিশুর ত্বকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টির অন্যতম সাধারণ কারণ হলো ডায়াপার র্যাশ , এটি সাধারণত খুব বেশি ক্ষতিকর না হলেও ডায়াপার র্যাশ ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে যা মা আর শিশুর জন্য পীড়াদায়ক।
কয়েকটি সহজ পদক্ষেপ অনুসরণ করে ডায়াপার র্যাশ প্রতিরোধ করতে পারেন এবং নিশ্চিত করতে পারেন যে আপনার শিশু ত্বক সুস্থ, কোমল এবং জ্বালাপোড়া মুক্ত আছে।
১. নিয়মিত ডায়াপার পরিবর্তন করুন
ডায়াপার র্যাশ প্রধান কারণ হলো দীর্ঘ সময় ধরে আদ্রতা এবং বর্জ্যের সংস্পর্শে থাকা। প্রতি দুই তিন ঘণ্টা পরপর বা ডায়াপার নোংরা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন করলে ত্বকের র্যাশ এবং জ্বালাপোড়া প্রতিহত করা সম্ভব।
পরামর্শ :: আপনার শিশুর জন্য এমনটা ডায়াপার নির্বাচন করুন যাতে আদ্রতা সূচক নির্দেশক রয়েছে যেমন টুইংকেল বেবি ডায়াপার।এই নির্দেশকগুলো নতুন অভিভাবকদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী কারণ এটি দেখায় কখন ডায়াপার পরিবর্তন করতে হবে।
২. ডায়াপার র্যাশ প্রতিরোধক ক্রিম ব্যবহার করুন
ক্রিম বা মলম আপনার শিশুর ত্বকের উপর একটি সুরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, যা আর্দ্রতা এবং জ্বালাপোড়া থেকে রক্ষা করে।প্রত্যেকবার ডায়াপার পরিবর্তনের সময় ন্যাপি র্যাশ ক্রিম এর প্রয়োগ অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে ।
প্রতিরোধক ক্রিমে এ উপাদান গুলো আছে কিনা দেখে নিন:
- জিঙ্ক অক্সাইড
- পেট্রোলেটাম
এই উপাদানগুলি সাধারণত ডায়াপার ক্রিমে ব্যবহৃত হয় এবং বেশিরভাগ শিশুর জন্য ভালো কাজ করে।
৩. মাঝে মাঝে আপনার শিশুকে ডায়াপার ছাড়াই রাখুন
আপনার শিশুকে কিছু সময় ডার্বা ছাড়া রাখা শিশুর ত্বকের জন্য ভালো। ডায়াপার বিহীন থাকলে অবস্থায় শিশুর ত্বকে বাতাস চলাচল করে যেটা আদ্রতা শুকাতে সাহায্য করে এবং র্যাশ এর ঝুঁকি কমায়।
আপনার শিশুকে কখন ডায়াপার ছাড়া রাখবেন :
- শিশুর গোসলের পর একটি নতুন ডায়াপার পড়ানোর আগে শিশুর ত্বক সম্পূর্ণ শুষ্ক হতে সময় দিন
- যদি আবহাওয়া উপযোগী হয় তাহলে একটি জল প্রতিরোধী ম্যাট বা নরম তোয়ালের উপর শিশুকে কিছুক্ষণ ডায়াপার ছাড়া রাখুন
৪. সঠিক মাপ এবং আকারের ডায়াপার বেছে নিন
ডায়াপার এর আকার যদি যথাযথ না হয় তাহলে শিশু ত্বকে ঘষা লেগে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে যা ডায়াপার র্যাশ এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। নিশ্চিত করুন আপনার শিশুর ডায়াপার আটসাট ভাবে পরিহিত থাকবে কিন্তু বেশি টাইট নয়।
নির্বাচন করুন টুইংকেল বেবি ডায়াপারেরর মত ডায়াপার,যা ইলাস্টিক ওয়েস্ট ব্যান্ড সহ তৈরি হওয়ায় আরামদায়কভাবে আপনার শিশুকে পরিধান করানো যায় এবং শিশুর আকারের সাথে চমৎকারভাবে মানিয়ে যায় ফলে ত্বকের সাথে ঘর্ষণ এবং জ্বালাপোড়ার সম্ভাবনা কমায়।
৫. আপনার শিশুর ত্বকের দিকে নজর রাখুন :
কখনো কখনো ডায়াপার র্যাশ শুধু আদ্রতা বা ঘর্ষণ থেকে সৃষ্টি হয় না। কোন কোন শিশুদের ত্বকে এমনকি নির্দিষ্ট কিছু ডায়াপার, ওয়াইপস ,কাপড় ধোয়ার গুড়া সাবান এর প্রতিও সংবেদনশীলতা দেখা যায়। যদি শিশুর ত্বকে প্রায়ই ডায়াপাররাশ দেখা যায় তাহলে ডায়াপার পরিবর্তন করে হাইপোএলার্জিনিক ডায়াপার এবং কৃত্রিম সুগন্ধি মুক্ত হোয়াইপস ব্যবহার করুন।
টুইংকেল বেবি ডায়াপার একটি ভালো বিকল্প : হাইপো অ্যালার্জিনিক উপকরণ দিয়ে তৈরি টুইংকেল বেবি ডায়াপার ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত যা সংবেদনশীল ত্বক যুক্ত শিশুদের জন্য একটি দুর্দান্ত পছন্দ।
কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা :
প্রশ্ন: বেবি ডায়াপার প্রতিরোধে কত ঘনঘন ডায়াপার পরিবর্তন করা উচিত?
উত্তর: প্রতি দুই তিন ঘন্টা পর পর অথবা ডায়াপার নোংরা হওয়ার সাথে সাথে পরিবর্তন করা উচিত।
প্রশ্ন: কোন খাবার কি ডায়াপার র্যাশ er কারণ হতে পারে?
উত্তর: হ্যাঁ! যখন শিশুদের নতুন দাঁত ওঠে, বা শিশু প্রথম সলিড খাবার খাওয়া শুরু করে তখন সাইট্রাস জাতীয় খাবার এমনকি কখনো কখনো টমেটো ডায়াপার র্যাশের কারণ হতে পারে।
প্রশ্ন :যদি আমার শিশুর ইতোমধ্যেই ডায়াপার র্যাশ হয়ে থাকে তাহলে কি করব?
উত্তর :শিশুর ড্রাইভার পরিধানের স্থানটি শুষ্ক রাখুন, নেপিরাশ প্রতিরোধক মলম ব্যবহার করুন, ওয়াইপস বা এমন পণ্য ব্যবহার এড়িয়ে চলুন যা ত্বককে আরো সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। যদি ন্যাপিরাস স্থায়ী হয় তাহলে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
শেষ কথা
নিয়মিত ডায়াপার পরিবর্তন, আপনার শিশু ত্বকের যত্ন এবং টুইংকেল বেবি ডায়াপার এর মত কোমল পণ্য ব্যবহার করে আপনি আপনার ছোট্ট শিশুর ত্বক সুস্থ রাখতে পারেন। মনে রাখবেন আপনার একটু বাড়তি যত্ন এবং সচেতনতা আপনার আদরের ছোট্ট মনির সময়কে ভরিয়ে রাখবে আনন্দ এবং ভালোবাসা এবং সুস্থতায়।